শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস

চেয়ারম্যান পদে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর ফাইল ছবি

বাহুবল (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা : বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ মহূর্তের প্রচারণায় নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। এখানে চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর মাত্র দু’দিন পর চূড়ান্ত ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবেন ১৬ প্রার্থী। এ লক্ষ্যে তারা কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রচারণার মাঠে উত্তাপ-উত্তেজনা দেখা না গেলেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে জনমনে সংশয় রয়েছে। এ কারণে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এ সংশয় শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে না পারলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কমবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

৭ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৯১। ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে আছেন তিনজন। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদির চৌধুরী (আনারস)। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সৈয়দ খলিলুর রহমান (ঘোড়া)। নির্বাচনী মাঠ ঘুরে আনারসের সাথে নৌকা প্রতীকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। শেষ পর্যন্ত আনাসর প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদির চৌধুরী তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারলে তিনিই বিজয়ের হাসি হাসবেন বলে ভোটারদের ধারণা।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৪ জন। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নতুনমুখ হাসিনা আক্তার শিপা (লাঙ্গল), বিএনপি’র বহি®কৃত নেত্রী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা খানম (কলস), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াছমিন (হাস) ও জ্যোৎস্না আক্তার (ফুটবল)। এ পদে সাবেক দুই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নতুনমুখ প্রার্থী হাসিনা আক্তার শিপা’র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৯ জন। তন্মধ্যে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ মিয়া (উড়োজাহাজ), মোঃ তারা মিয়া (চশমা), মোঃ ইয়াকুত মিয়া (মাইক), এসএম শফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফারুক মিয়া (পালকী), খন্দকার ইদ্রিছ মিয়া (বই), সোহেল আহমেদ কুটি (তালা), শশাঙ্ক রঞ্জন দাস (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও নীহার রঞ্জন দেব (টিয়া পাখি)। এ পদে ভোটের মাঠে সাম্প্রদায়িক ভোট ব্যাংকের প্রার্থীকেই স্থানীয় লোকজন এগিয়ে রাখছেন। চা শ্রমিকসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোট ব্যাংকে দু’জন (শশাঙ্ক রঞ্জন দাস ও নীহার রঞ্জন দেব) প্রার্থীর বিপরিতে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ভূক্ত একক প্রার্থী মোঃ ইয়াকুত মিয়া সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। এছাড়া কওমী আলেম সমাজ (হেফাজতে ইসলাম) সমর্থিত প্রার্থী খন্দকার ইদ্রিছ মিয়াকে অনেকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে বিবেচনা করছেন। কারো কারো ধারণা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তারা মিয়া কিংবা সাবেক ছাত্র নেতা ফারুক মিয়া-এর মধ্যে যে কেউ শেষ পর্যন্ত মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে আসতে পারেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com